চিঠি

চিঠি

প্রিয়! একখানা চিঠি দিও সময় করে। তোমার একান্ত নিজস্বতায় গড়ে এ চিঠি বহন করে যেনো তোমারই অস্তিত্বের প্রতীকী; তুমি কাছে না থাকলেও তোমার সান্নিধ্য ঠিকই হাতড়িয়ে পাওয়া হয় আমার; আশীর্বাদস্বরূপ এ সৃষ্টি যে তোমারই অবতার। কেমন যায় তোমার দিন? সাদাকালো না রঙিন? তোমার খবর জানিয়ে দিবে কি চিঠির পাতায় মুড়িয়ে? ভালো সময়ের অন্তরালে মুহূর্ত কাটালে দাও না আমায় খবর! আমিও যে সুখ-শান্তির নেশাখোর! তোমার আনন্দে আনন্দিত হয়ে সুখের সাগরে একসাথে ভাসতে চাই তোমার সাথে , হাত প্রসার করে বন্ধুর আনন্দের প্রদীপটাতে উজ্জ্বলিত হওয়ার থেকে আনন্দময়তা কি আর কোথাও আছে? দুর্ভাগ্যের অভিশপ্ততায় অস্তিত্ব ঘিরে কষ্ট জেঁকে বসলেও আমার কাছে চিঠির মাধ্যমে বলতে সংকোচ কোরো না। অসহতার ঘা শুকাতে যদি এক ছটাক অবদানও রাখতে পারি, হৃদয়ে সুপ্ত আহাজারি যদি কিছুটা হলেও কমাতে পারি, তাহলে বন্ধুত্বের সার্থকতা কিছুটা হলেও কি জারি হবে না? বন্ধুত্ব যে শুধুই দুটি হৃদয়ের মিলন না। মা কেমন আছে রে? চিঠিতে জানিয়ে দিও কিন্তু মনে করে। সামনের অক্টোবরে পুজোর ছুটি পেলে তোমার ঘরের দোরে আমি কিন্তু হাজির হতে যাচ্ছি। তোমার অস্তিত্ব ঘিরে থাকতে চাচ্ছি- এ যে আমার এক বায়না, মন তো আর অপেক্ষা করতে চায় না সামনের ছুটিতে তোমাকে কাছে পাওয়ার জন্য। আমি সত্যিই ধন্য চিঠির কাছে তোমার অনুপস্থিতিতেও তোমার মাঝে সান্নিধ্য দেওয়ার জন্য। প্রতিউত্তরে আমিও কিন্তু দিবো চিঠি, আমার মুহূর্তগীতি তোমায় না জানালে কি জমে আমার? ভেতরটা যে ছারখার হয়ে যায় আমার সুখ-দুঃখের খবর তোমায় না জানিয়ে নিজের ভিতর রাখলে গুটিয়ে। কতো কিছু যে জানানোর আছে তোমায়! তা কতোক্ষণই বা পারা যায় নিজের ভিতর জেঁকে রাখতে? চিঠির আশীর্বাদেই তোমার পরশে বাঁচতে সম্ভব হয়েছে তোমার অনুপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও। চিঠির চেয়ে শ্রেয় কোনো সৃষ্টি নেই আমার জীবনে, চিঠির কারণেই তোমায় যতনে আগলে রাখতে পারি প্রিয়! মনে করে কিন্ত অবশ্যই চিঠি দিও।