ব্যস্ততার ভারে রাস্তার পাশে কিংবা রেললাইনের ধারে দৃষ্টিনিক্ষেপিত হয় না কতোদিন! জীবনের স্বাভাবিক ধারাকে বিলীন করে না জানি কী আনন্দ পায় যান্ত্রিকতার অস্তিত্বখানি! দৃষ্টিনিক্ষেপ করতে না করতেই জীর্ণ"শীর্ণ অবয়বের ছিন্ন"ভিন্ন বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় পাগ"লের দেখা মিলে। এদের জীবন ব্যথিত হয় ব্যর্থতার চাম"ড়া ছি"লে ফেলার অভি"শপ্ততায়। কম কষ্ট কি মানুষকে পাগল হওয়ার পথে নিয়ে যায়? জীবনের রঙ্গমঞ্চে মাদল বাজায় কতোকিছুরই তো কদর্যতা! প্রেমে, ক্যারিয়ারে ব্য"র্থতা, অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা থেকে শুরু করে কাছের মানুষ চিরতরে হারানো- কম কিছুর বি"ষাক্ততা কি করে তীব্রভা"বে দংশ"ন মানুষের এ অমুল্য জীবন? কুৎ"সিত অভিজ্ঞতা প্রলেপ লাগিয়ে এক পর্যায়ে মান"সিক ভারসাম্যকে দেয় শূ"ন্যে মিলিয়ে, অজস্র শো"কে মানুষ নিজেকে হা"রিয়ে ফেলে। সমাজে, পরিবারে অবস্থান করাকে জে"লে থাকার মতো মনে হয়; যেহেতু মস্তিষ্কজুড়ে অস্বাভা"বিকতার হয় জয়। সে ঘরছাড়া হয় কদাকা"র এ অস্বাভা"বিকতার জোরে। এমনকি পরিবারও তাকে দেয় না ছাড়; তাকে ঘরে জায়গা দিতে অ"নিচ্ছা আঁকড়ে ধরে। মানসিক স্থিতিশীলতা না থাকায় সে নিরাপত্তায় সমাজকে বাঁচিয়ে রাখতে না পারায় মানুষ তাকে সর্বদা এড়িয়ে যায়। পা"গল ছোটোবাচ্চাদের কাছে এক আ"তঙ্কের নাম। বেজায় অদ্ভুততার খাম মোড়ানো এ সৃষ্টির দেখা পেলে আঁত"কে ওঠে, মন জুড়ে ভয় খেলে যাওয়ার চোটে স্থান ত্যা"গ করতে চায়। কিছু কিছু মানুষের করুণায় কখনো এদের ভাগ্যে অল্প কিছু টাকা, খাবার মিলে। কিন্ত বিপুল বৈরাগ্যে ছেয়ে যাওয়া জীবনকে গিলে খায় একা"কিত্ব, অ"বহেলা, অ"যত্ন। তাদের প্রতি কল্যাণ ছড়িয়ে তাদের জীবনকে ধন্য করতে উদা"সীনতায় ছেয়ে যায় বেশিরভাগ মানুষ। মনুষ্যত্বের ফানুশ নিভে যাওয়ায় আঁধা"রে আচ্ছাদিত এ পৃথিবীতে তার পথ সৃষ্টি হয় না। ছন্দ ফুরিয়ে যায় তার জীবনের কবিতার; অব"সান আর হয় না পাগ"লের এ মান"বেতর জীবনধারার।