বিষাদ বেলা

বিষাদ বেলা

কিছু কিছু মন খারাপের গল্প কাউকেই বলা যায় না আবার নিজের মধ্যেও রেখে দেয়া যায়না। কেমন একটা অদ্ভূত ধরনের চাপা দমবন্ধ অবস্থার উপক্রম হয় তখন। মাথার মধ্যে সবসময় কেবল একটা ভাল্লাগেনা রোগের পোকা মাকড়শার জালের মতো জাল বুনতে থাকে। আর যখন ভাল্লাগেনা অসুখটা মনের মধ্যে জেগে ওঠে তখন সব হাসি, আনন্দ ধীরে ধীরে জীবন থেকে মিলিয়ে যেতে শুরু করে। কখনো কখনো এই মন খারাপগুলো দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বিরাজ করে। আবার কখনো কখনো খুব অল্প সময়েই মিলিয়ে যায়। তবে বেশি সময় ধরে বিরাজ করার ব্যাপ্তিই থাকে বেশি। মাঝে মাঝে অনবরত পানি পরতে থাকে চোখ থেকে। অসম্ভব ব্যাথা অনুভূত হয়। মনে হয় জীবন থেকে খুব অমূল্য কিছু হারিয়ে যাচ্ছে। কেনো যে মনটা এমন ছেলেমানুষি করে বুঝে উঠতে পারি না। এই মন খারাপ বা বিষন্নতা কিন্তু কাউকে হুট করে আক্রমণ করে না। ধীরে ধীরে সব মন খারাপগুলো অল্প অল্প করে জমে  বিশাল আকারের ধারণ করে তখন আর সহজে বের হওয়া যায়না এখান থেকে। 
কখনও কখনও কোনোকিছুতে ব্যার্থ হলে ভীষণ খারাপ লাগা কাজ করে। যেমন জীবন থেকে প্রিয় কেউ হারিয়ে গেলে অথবা পছন্দের জিনিস না পেলে। আবার অনেক সময় সাফল্যের পেছনে ছুটতে ছুটতে নিজেকে হারিয়ে ফেলা। সব মিলিয়ে চারপাশের পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকা বড্ডো কঠিন। সব কিছুতে যে জয়ী হতে হবে এরকম কোনো কথা নেই তবে মাঝে মাঝে সবকিছুতে তাল মেলাতে গিয়ে হেরে যেতে হয়। এখান থেকে আবার হতাশা, বিরক্তির সৃষ্টি হয় যা বিষন্নতার দিকে ধাবিত করে। তখন প্রচন্ড খারাপ লাগা অনুভুত হয়। 
মাঝে মাঝে নিজেকে ভুল বুঝিয়ে অনেক দূরে চলে যেতে ইচ্ছে করে কিন্তু সবকিছু তো আর এত সহজে পাওয়া সম্ভব নয়। আমার একজন শিক্ষক একটা কথা সবসময় বলতো যে আমাদের জীবনে খারাপ সময়গুলো নাকি বেশীক্ষন থাকে না, একটা সময় ঠিকই  কেটে যায়। কিন্তু আমার জীবনের এই খারাপ সময় গুলো কেমন যেনো চলে যেয়েও যেতে চাইছিলো না। কতোটা অসহনীয় ছিলো সেটা শুধু আমিই জানি। কেমন একটা দুঃস্বপ্নের মতো ছিলো সবকিছু। শুধু মনে হচ্ছিলো যে আমি কোনো খারাপ স্বপ্ন দেখছি। ঘুম থেকে উঠলেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কিছুই ঠিক হয়না। তবে এই দুঃসময়ের প্রতিটা মুহূর্তই ছিলো খুবই অসহনীয়। যেমন আমার প্রিয় মানুষ এর আমার জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া।
এখন কেমন যেনো একটা কথা মাথায় ঘুরঘুর করছে সেটা হলো প্রিয় মানুষ। হুম...প্রিয় মানুষ!! ছিলো কেউ কিন্তু এখন আর নেই। হারিয়ে গেছে অনেক দূরে। অনেক অনেক দূরে। যেখানে পৌঁছনো যায় না, চাইলেই কথা বলা যায় না, সব মনখারাপগুলোও জমা রাখা যায়না, ইচ্ছে হলেই তাকে দেখতে পাওয়া যায়না।  
"কেন তোমায় নিয়ে ভাবলে এক আকাশ দুঃখ আমায় ছুঁয়ে ফেলে?"
যেদিকে তাকাই সবখানেই‌ তুমিহীন। সবকিছু কেমন মরীচিকাময়তাই আচ্ছন্ন হয়ে আছে। অথচ এমনটা হওয়ার কথাও ছিলো না। 
তবে কেনো হলো এমন ? 
এটাই কি নিয়তি ছিলো আমার ?
সবারই তো প্রিয় মানুষ থাকে, আমার কেন কেউ নেই?
প্রিয় মানুষ ছাড়া কি চলা যায়?
- যায় হয়তো!
 আমি সত্যিই জানি না, তুমি কেনো করলে এমন আমার সাথে। তবে তোমার আমায় ছেড়ে যাওয়ার মতো কোনো বিশেষ কারণ আমি এখনো খুঁজে পাই নি, তেমন কিছুই  চোখে পড়ে নি আমার। তোমার মায়ায় যেই মেয়েটা ভয়ংকরভাবে আটকে ছিলো এখন সে মুক্ত। কোনো পিছুটান নেই তার , কোনো মায়াও কাজ করে না আর তোমার জন্যে।‌ কারো ওপর ভয়ংকর ভাবে আসক্ত হওয়ার পর অন্য কাউকে আর ভালো লাগার কোনো ইচ্ছেশক্তি কাজ করে না। ওই যে একটা কথা আছে না যে জায়গা, কেউ জীবন থেকে চলে গেলে তার জায়গাটা মনের ভেতর যতটা অংশ নিয়ে ছিলো সেটা অন্য কাউকে আর দেয়া যায়না। পৃথিবীতে কোনো স্থানই ফাঁকা থাকেনা , কখনও না কখনো কেউ না কেউ এসে শূন্য স্থান পূর্ণ করে ফেলে তবে ঠিক পুরোনো জায়গাটাতে কোথাও একটা শূন্যতা রয়েই যায়। জীবনের সবকিছু পরিবর্তন করা গেলেও কিছু জিনিস কখনো প্রতিস্থাপন করা যায়না। শূন্য হৃদয় সবসময় শূন্যই থেকে যায়। শেষে সব মিলিয়ে অনেক ভালো অভিজ্ঞতার সাথে কিছু বাজে অভিজ্ঞতাও যুক্ত হয়ে যায়।
 জীবন এমন কেনো? 
প্রিয় মানুষগুলো কেনো হারিয়ে যায়?
 সব বিষণ্ণ মনখারাপ গুলো কেনো বলা যায় না মন খারাপের সময়? 
তবে কি  একা থাকাই শ্রেয়? 
- জানিনা।
আমার কোনো প্রত্যাশা নেই আর কোনোকিছুর প্রতি। তোমার সব পুরোনো স্মৃতিগুলো নিয়েই পুরোটা সময় পার হয়ে যাবে কিন্তু তুমিহীন সবকিছুই কেমন শূন্য লাগে; অর্থহীন মনে হয়। জানিনা আবার সবকিছু ঠিক হবে কিনা তবে তোমার জন্যে অপেক্ষা করবো আমি অনন্তকাল অসীম সময় পর্যন্ত।
গল্পঃ বিষাদ বেলা 
লেখায়ঃ জেবা আনিকাকিছু কিছু মন খারাপের গল্প কাউকেই বলা যায় না আবার নিজের মধ্যেও রেখে দেয়া যায়না। কেমন একটা অদ্ভূত ধরনের চাপা দমবন্ধ অবস্থার উপক্রম হয় তখন। মাথার মধ্যে সবসময় কেবল একটা ভাল্লাগেনা রোগের পোকা মাকড়শার জালের মতো জাল বুনতে থাকে। আর যখন ভাল্লাগেনা অসুখটা মনের মধ্যে জেগে ওঠে তখন সব হাসি, আনন্দ ধীরে ধীরে জীবন থেকে মিলিয়ে যেতে শুরু করে। কখনো কখনো এই মন খারাপগুলো দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বিরাজ করে। আবার কখনো কখনো খুব অল্প সময়েই মিলিয়ে যায়। তবে বেশি সময় ধরে বিরাজ করার ব্যাপ্তিই থাকে বেশি। মাঝে মাঝে অনবরত পানি পরতে থাকে চোখ থেকে। অসম্ভব ব্যাথা অনুভূত হয়। মনে হয় জীবন থেকে খুব অমূল্য কিছু হারিয়ে যাচ্ছে। কেনো যে মনটা এমন ছেলেমানুষি করে বুঝে উঠতে পারি না। এই মন খারাপ বা বিষন্নতা কিন্তু কাউকে হুট করে আক্রমণ করে না। ধীরে ধীরে সব মন খারাপগুলো অল্প অল্প করে জমে  বিশাল আকারের ধারণ করে তখন আর সহজে বের হওয়া যায়না এখান থেকে। 
কখনও কখনও কোনোকিছুতে ব্যার্থ হলে ভীষণ খারাপ লাগা কাজ করে। যেমন জীবন থেকে প্রিয় কেউ হারিয়ে গেলে অথবা পছন্দের জিনিস না পেলে। আবার অনেক সময় সাফল্যের পেছনে ছুটতে ছুটতে নিজেকে হারিয়ে ফেলা। সব মিলিয়ে চারপাশের পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকা বড্ডো কঠিন। সব কিছুতে যে জয়ী হতে হবে এরকম কোনো কথা নেই তবে মাঝে মাঝে সবকিছুতে তাল মেলাতে গিয়ে হেরে যেতে হয়। এখান থেকে আবার হতাশা, বিরক্তির সৃষ্টি হয় যা বিষন্নতার দিকে ধাবিত করে। তখন প্রচন্ড খারাপ লাগা অনুভুত হয়। 
মাঝে মাঝে নিজেকে ভুল বুঝিয়ে অনেক দূরে চলে যেতে ইচ্ছে করে কিন্তু সবকিছু তো আর এত সহজে পাওয়া সম্ভব নয়। আমার একজন শিক্ষক একটা কথা সবসময় বলতো যে আমাদের জীবনে খারাপ সময়গুলো নাকি বেশীক্ষন থাকে না, একটা সময় ঠিকই  কেটে যায়। কিন্তু আমার জীবনের এই খারাপ সময় গুলো কেমন যেনো চলে যেয়েও যেতে চাইছিলো না। কতোটা অসহনীয় ছিলো সেটা শুধু আমিই জানি। কেমন একটা দুঃস্বপ্নের মতো ছিলো সবকিছু। শুধু মনে হচ্ছিলো যে আমি কোনো খারাপ স্বপ্ন দেখছি। ঘুম থেকে উঠলেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কিছুই ঠিক হয়না। তবে এই দুঃসময়ের প্রতিটা মুহূর্তই ছিলো খুবই অসহনীয়। যেমন আমার প্রিয় মানুষ এর আমার জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া।
এখন কেমন যেনো একটা কথা মাথায় ঘুরঘুর করছে সেটা হলো প্রিয় মানুষ। হুম...প্রিয় মানুষ!! ছিলো কেউ কিন্তু এখন আর নেই। হারিয়ে গেছে অনেক দূরে। অনেক অনেক দূরে। যেখানে পৌঁছনো যায় না, চাইলেই কথা বলা যায় না, সব মনখারাপগুলোও জমা রাখা যায়না, ইচ্ছে হলেই তাকে দেখতে পাওয়া যায়না।  
"কেন তোমায় নিয়ে ভাবলে এক আকাশ দুঃখ আমায় ছুঁয়ে ফেলে?"
যেদিকে তাকাই সবখানেই‌ তুমিহীন। সবকিছু কেমন মরীচিকাময়তাই আচ্ছন্ন হয়ে আছে। অথচ এমনটা হওয়ার কথাও ছিলো না। 
তবে কেনো হলো এমন ? 
এটাই কি নিয়তি ছিলো আমার ?
সবারই তো প্রিয় মানুষ থাকে, আমার কেন কেউ নেই?
প্রিয় মানুষ ছাড়া কি চলা যায়?
- যায় হয়তো!
 আমি সত্যিই জানি না, তুমি কেনো করলে এমন আমার সাথে। তবে তোমার আমায় ছেড়ে যাওয়ার মতো কোনো বিশেষ কারণ আমি এখনো খুঁজে পাই নি, তেমন কিছুই  চোখে পড়ে নি আমার। তোমার মায়ায় যেই মেয়েটা ভয়ংকরভাবে আটকে ছিলো এখন সে মুক্ত। কোনো পিছুটান নেই তার , কোনো মায়াও কাজ করে না আর তোমার জন্যে।‌ কারো ওপর ভয়ংকর ভাবে আসক্ত হওয়ার পর অন্য কাউকে আর ভালো লাগার কোনো ইচ্ছেশক্তি কাজ করে না। ওই যে একটা কথা আছে না যে জায়গা, কেউ জীবন থেকে চলে গেলে তার জায়গাটা মনের ভেতর যতটা অংশ নিয়ে ছিলো সেটা অন্য কাউকে আর দেয়া যায়না। পৃথিবীতে কোনো স্থানই ফাঁকা থাকেনা , কখনও না কখনো কেউ না কেউ এসে শূন্য স্থান পূর্ণ করে ফেলে তবে ঠিক পুরোনো জায়গাটাতে কোথাও একটা শূন্যতা রয়েই যায়। জীবনের সবকিছু পরিবর্তন করা গেলেও কিছু জিনিস কখনো প্রতিস্থাপন করা যায়না। শূন্য হৃদয় সবসময় শূন্যই থেকে যায়। শেষে সব মিলিয়ে অনেক ভালো অভিজ্ঞতার সাথে কিছু বাজে অভিজ্ঞতাও যুক্ত হয়ে যায়।
 জীবন এমন কেনো? 
প্রিয় মানুষগুলো কেনো হারিয়ে যায়?
 সব বিষণ্ণ মনখারাপ গুলো কেনো বলা যায় না মন খারাপের সময়? 
তবে কি  একা থাকাই শ্রেয়? 
- জানিনা।
আমার কোনো প্রত্যাশা নেই আর কোনোকিছুর প্রতি। তোমার সব পুরোনো স্মৃতিগুলো নিয়েই পুরোটা সময় পার হয়ে যাবে কিন্তু তুমিহীন সবকিছুই কেমন শূন্য লাগে; অর্থহীন মনে হয়। জানিনা আবার সবকিছু ঠিক হবে কিনা তবে তোমার জন্যে অপেক্ষা করবো আমি অনন্তকাল অসীম সময় পর্যন্ত।
গল্পঃ বিষাদ বেলা 
লেখায়ঃ জেবা আনিকাকিছু কিছু মন খারাপের গল্প কাউকেই বলা যায় না আবার নিজের মধ্যেও রেখে দেয়া যায়না। কেমন একটা অদ্ভূত ধরনের চাপা দমবন্ধ অবস্থার উপক্রম হয় তখন। মাথার মধ্যে সবসময় কেবল একটা ভাল্লাগেনা রোগের পোকা মাকড়শার জালের মতো জাল বুনতে থাকে। আর যখন ভাল্লাগেনা অসুখটা মনের মধ্যে জেগে ওঠে তখন সব হাসি, আনন্দ ধীরে ধীরে জীবন থেকে মিলিয়ে যেতে শুরু করে। কখনো কখনো এই মন খারাপগুলো দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বিরাজ করে। আবার কখনো কখনো খুব অল্প সময়েই মিলিয়ে যায়। তবে বেশি সময় ধরে বিরাজ করার ব্যাপ্তিই থাকে বেশি। মাঝে মাঝে অনবরত পানি পরতে থাকে চোখ থেকে। অসম্ভব ব্যাথা অনুভূত হয়। মনে হয় জীবন থেকে খুব অমূল্য কিছু হারিয়ে যাচ্ছে। কেনো যে মনটা এমন ছেলেমানুষি করে বুঝে উঠতে পারি না। এই মন খারাপ বা বিষন্নতা কিন্তু কাউকে হুট করে আক্রমণ করে না। ধীরে ধীরে সব মন খারাপগুলো অল্প অল্প করে জমে  বিশাল আকারের ধারণ করে তখন আর সহজে বের হওয়া যায়না এখান থেকে। 
কখনও কখনও কোনোকিছুতে ব্যার্থ হলে ভীষণ খারাপ লাগা কাজ করে। যেমন জীবন থেকে প্রিয় কেউ হারিয়ে গেলে অথবা পছন্দের জিনিস না পেলে। আবার অনেক সময় সাফল্যের পেছনে ছুটতে ছুটতে নিজেকে হারিয়ে ফেলা। সব মিলিয়ে চারপাশের পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকা বড্ডো কঠিন। সব কিছুতে যে জয়ী হতে হবে এরকম কোনো কথা নেই তবে মাঝে মাঝে সবকিছুতে তাল মেলাতে গিয়ে হেরে যেতে হয়। এখান থেকে আবার হতাশা, বিরক্তির সৃষ্টি হয় যা বিষন্নতার দিকে ধাবিত করে। তখন প্রচন্ড খারাপ লাগা অনুভুত হয়। 
মাঝে মাঝে নিজেকে ভুল বুঝিয়ে অনেক দূরে চলে যেতে ইচ্ছে করে কিন্তু সবকিছু তো আর এত সহজে পাওয়া সম্ভব নয়। আমার একজন শিক্ষক একটা কথা সবসময় বলতো যে আমাদের জীবনে খারাপ সময়গুলো নাকি বেশীক্ষন থাকে না, একটা সময় ঠিকই  কেটে যায়। কিন্তু আমার জীবনের এই খারাপ সময় গুলো কেমন যেনো চলে যেয়েও যেতে চাইছিলো না। কতোটা অসহনীয় ছিলো সেটা শুধু আমিই জানি। কেমন একটা দুঃস্বপ্নের মতো ছিলো সবকিছু। শুধু মনে হচ্ছিলো যে আমি কোনো খারাপ স্বপ্ন দেখছি। ঘুম থেকে উঠলেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কিছুই ঠিক হয়না। তবে এই দুঃসময়ের প্রতিটা মুহূর্তই ছিলো খুবই অসহনীয়। যেমন আমার প্রিয় মানুষ এর আমার জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া।
এখন কেমন যেনো একটা কথা মাথায় ঘুরঘুর করছে সেটা হলো প্রিয় মানুষ। হুম...প্রিয় মানুষ!! ছিলো কেউ কিন্তু এখন আর নেই। হারিয়ে গেছে অনেক দূরে। অনেক অনেক দূরে। যেখানে পৌঁছনো যায় না, চাইলেই কথা বলা যায় না, সব মনখারাপগুলোও জমা রাখা যায়না, ইচ্ছে হলেই তাকে দেখতে পাওয়া যায়না।  
"কেন তোমায় নিয়ে ভাবলে এক আকাশ দুঃখ আমায় ছুঁয়ে ফেলে?"
যেদিকে তাকাই সবখানেই‌ তুমিহীন। সবকিছু কেমন মরীচিকাময়তাই আচ্ছন্ন হয়ে আছে। অথচ এমনটা হওয়ার কথাও ছিলো না। 
তবে কেনো হলো এমন ? 
এটাই কি নিয়তি ছিলো আমার ?
সবারই তো প্রিয় মানুষ থাকে, আমার কেন কেউ নেই?
প্রিয় মানুষ ছাড়া কি চলা যায়?
- যায় হয়তো!
 আমি সত্যিই জানি না, তুমি কেনো করলে এমন আমার সাথে। তবে তোমার আমায় ছেড়ে যাওয়ার মতো কোনো বিশেষ কারণ আমি এখনো খুঁজে পাই নি, তেমন কিছুই  চোখে পড়ে নি আমার। তোমার মায়ায় যেই মেয়েটা ভয়ংকরভাবে আটকে ছিলো এখন সে মুক্ত। কোনো পিছুটান নেই তার , কোনো মায়াও কাজ করে না আর তোমার জন্যে।‌ কারো ওপর ভয়ংকর ভাবে আসক্ত হওয়ার পর অন্য কাউকে আর ভালো লাগার কোনো ইচ্ছেশক্তি কাজ করে না। ওই যে একটা কথা আছে না যে জায়গা, কেউ জীবন থেকে চলে গেলে তার জায়গাটা মনের ভেতর যতটা অংশ নিয়ে ছিলো সেটা অন্য কাউকে আর দেয়া যায়না। পৃথিবীতে কোনো স্থানই ফাঁকা থাকেনা , কখনও না কখনো কেউ না কেউ এসে শূন্য স্থান পূর্ণ করে ফেলে তবে ঠিক পুরোনো জায়গাটাতে কোথাও একটা শূন্যতা রয়েই যায়। জীবনের সবকিছু পরিবর্তন করা গেলেও কিছু জিনিস কখনো প্রতিস্থাপন করা যায়না। শূন্য হৃদয় সবসময় শূন্যই থেকে যায়। শেষে সব মিলিয়ে অনেক ভালো অভিজ্ঞতার সাথে কিছু বাজে অভিজ্ঞতাও যুক্ত হয়ে যায়।
 জীবন এমন কেনো? 
প্রিয় মানুষগুলো কেনো হারিয়ে যায়?
 সব বিষণ্ণ মনখারাপ গুলো কেনো বলা যায় না মন খারাপের সময়? 
তবে কি  একা থাকাই শ্রেয়? 
- জানিনা।
আমার কোনো প্রত্যাশা নেই আর কোনোকিছুর প্রতি। তোমার সব পুরোনো স্মৃতিগুলো নিয়েই পুরোটা সময় পার হয়ে যাবে কিন্তু তুমিহীন সবকিছুই কেমন শূন্য লাগে; অর্থহীন মনে হয়। জানিনা আবার সবকিছু ঠিক হবে কিনা তবে তোমার জন্যে অপেক্ষা করবো আমি অনন্তকাল অসীম সময় পর্যন্ত।
গল্পঃ বিষাদ বেলা 
লেখায়ঃ জেবা আনিকা