শেষ মৃত পাখি

শেষ মৃত পাখি

দার্জিলিং শহরের এমন একটি আবহাওয়া যেখানে লাগাতার বৃষ্টি। এই সময়টায় ট্যুরিস্টদের আগমনও খুব কম বলা চলে। ঠিক এই সময়ে পঁয়তাল্লিশ বছর আগে ঘটে যাওয়া অমীমাংসিত খুনের কাহিনি নিয়ে গল্প খুঁজতে এসেছেন গল্পের প্রোটাগনিস্ট চরিত্র তনয়া ভট্টাচার্য। পেশায় তিনি একজন জার্নালিস্ট।তনয়া ভারতব্যাপী যেসকল অমীমাংসিত কেস রয়েছে তার ই ধারাবাহিক লেখেন ম্যাগাজিনে।তরুণ সাহিত্যিক অমিতাভ মিত্র খুনের দায়ে গ্রেফতার করা হয় তাঁর ই বাল্যবন্ধু অরুণ চৌধুরীকে যিনি নিজেও একজন লেখক। তবে তাঁর যথেষ্ট অ্যালিবাই থাকার কারণে তিনি ছাড়া পেয়ে যান এবং খুনেরও কোনো সুরাহা হয়নি। সেই অমীমাংসিত গল্প নতুন করে খুঁড়ে পাঠকের সামনে তুলতেই তনয়ার আগমন দার্জিলিং শহরে। একই গল্পের মধ্যে আরও একটি গল্প। দ্বিতীয় গল্পের সমাধান প্রথম গল্পের সুরাহা করবে বলে মনে হতে পারে। ঠিক যেই মুহুর্তে পুরো ব্যাপারটা খোলসা হবে ঠিক তখনই লেখক বলে উঠলেন, সব মিথ্যে সব ভুল। ঠিক এই জায়গাতেই অন্যসব বইয়ের চেয়ে এই বইটি আমার বেশ আলাদা ধাঁচের মনে হয়েছে। চরিত্র গঠনে লেখক অসম্ভব দূরদর্শিতা দেখিয়েছেন। প্রত্যেকটা চরিত্র অসাধারণভাবে বিল্ডআপ করা। খুব সামান্য চরিত্রও গল্পের প্রয়োজনে অসামান্য হয়ে উঠেছে। অমিতাভ, অরুণ ,অনন্যা, ড্যানিয়েল লামা প্রত্যেকটি চরিত্র খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়াও গল্পের মধ্যে আরেকটি গল্পের চরিত্রায়নও যথেষ্ট প্রশংসার ভাগীদার । শেষকথা একটাই, রহস্যপ্রীতি থাকা প্রত্যেক পাঠকের জন্য হাইলি রেকমেন্ডেড বই এটি।ভালো বইয়ের গল্প ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র। লেখকের জন্য শুভকামনা। রেটিংস : ৫/৫