“ কর্তব্য! এই ছোট্ট একটি কথার আড়ালে পৃথিবীর কত ভালো এবং কত মন্দই না সঞ্চিত আছে”
📚বইয়ের নাম: পথের দাবী
📚লেখকের নাম: শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়
📚ধরণ : রাজনৈতিক উপন্যাস
“পথের দাবী” শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের একটি জনপ্রিয় উপন্যাস। এটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৬ সালে। ব্রিটিশ শাসনামলে বিপ্লবী ও সংগ্রামী চেতনার সম্বনয়ে উপন্যাসটি লেখার জন্য বইটি নিষিদ্ধ হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে এমন রাজনৈতিক উপন্যাস লিখে অত্যন্ত সাহস ও দেশপ্রেমের পরিচয় দেয় লেখক শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়। উপন্যাসটি শুরু হয় অপূর্ব নামক একজন যুবককে নিয়ে। অপূর্ব ভীরু প্রকৃতির মানুষ হলেও অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার।চাকরির সুবাদে রেঙ্গুন গমন করে অপূর্ব। সেখানে পরিচয় ঘটে ভারতী নামক একজন খ্রিস্টান নারীর সঙ্গে। অপূর্ব ব্রাক্ষণ হওয়ার কারণে ভারতীকে সর্বদা এরিয়ে চলার চেষ্টা করতো। উপন্যাসের প্রথম অংশে পাঠকের মনে হতে পারে। অপূর্ব ও ভারতীকে কেন্দ্র করে হয়তো পুরো উপন্যাসটি। কিন্তু বিষয়টি মোটেও তা নয়। উপন্যাসের মোড় ঘুরে নতুন রুপ নেয়। এই বইটির অন্যতম চরিত্র হলো সব্যসাচী। আদর্শ বিপ্লবী চেতনার মূর্ত প্রতীক সব্যসাচী। সাধারণ মানুষকে ছাপিয়ে ভিন্ন একজন ব্যাক্তিত্ব সব্যসাচী। নিজের সুখ,আহ্লাদ,ভবিষ্যৎ কোনো কিছু নিয়েই সব্যসাচীর বিন্দু মাত্র চিন্তা নেই। দেশের ভালো ও দশের ভালো করার জন্য নিজের সর্বস্বটুকু ত্যাগ করতে প্রস্তুত সে। তার গড়ে তোলা সংগঠনের নাম “পথের দাবী”।
“আমরা সবাই পথিক। মানুষের মন্যুষত্বের পথে চলবার সর্বপ্রকার দাবি অঙ্গীকার করে আমরা সকল বাধা ভেঙ্গেচুরে চলব”
এটি পথের দাবীর মূলকথন। মহাভারতে অর্জুনের আর এক নাম ‘সব্যসাচী। একজন সাহসী দেশপ্রেমিক চরিত্র হিসেবে সব্যসাচী চরিত্রটিকে লেখক অত্যন্ত সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।তখনকার সমাজের নানা অসংগতি,ইংরেজদের নির্দয় আচরণ, ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে সকলকে একত্রিত করা। স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য নিজের জীবনকে বিসর্জন দিয়ে অনিশ্চিত ভবিষৎ এর দিকে যাত্রা সবকিছু মিলিয়ে উপন্যাসটিকে অসাধারণ করে তুলেছে।